হ্যাকিং এর A – Z (পর্ব ১) ভূমিকা ও প্রোগ্রামিং

কিছু কথা

আমি আপনাদের যা কিছু শেখাবো তার বেশীর ভাগ  আমি শিখেছি P1n1x_Cr3w থেকে।  তাই এর ক্রেডিট পুরোপুরি ভাবে আমার না। আপনারা দোয়া করবেন যাতে সব গুলো পর্ব ভালো ভাবেই শেষ করতে পারি। তবে "Hacking is not a crime, its an art of logic" কিংবা "হ্যাকিং শুধু শেখার জন্য। খারাপ উদ্দেশ্যে এটা ব্যাবহার করবেন না" এ জাতীও কিছু আমি বলবনা। হ্যাকিং শেখার জিনিস ঠিক , কিন্তু এটা শিখতে গেলে হ্যাক করতেই হবে। আর হ্যাক করলে কারও না কারও ক্ষতি হবেই। আর অন্যের ক্ষতি করা অবশ্যই অপরাধ। কিন্তু কারও ক্ষতি করলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

ভূমিকা

১.হ্যাকার কে?

হ্যাকার হচ্ছে সেই ব্যাক্তি জিনি নিরাপত্তা / অনিরাপত্তার সাথে জড়িত এবং নিরাপত্তা ব্যাবস্থার দুর্বল দিক খুঁজে বের করায় বিশেষ ভাবে দক্ষ অথবা অন্য কম্পিউটার ব্যাবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করাতে সক্ষম বা এর সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী।
সাধারণ ভাবে হ্যাকার শব্দটি কালো টুপি হ্যাকার অর্থেই বেশী ব্যাবহার করা হয় যারা মুলত ধ্বংস মূলক ও অপরাধ মূলক কর্ম কান্ড চালায়। এছাড়াও নৈতিক হ্যাকার এবং নৈতিকতা সম্পর্কে অপরিষ্কার হ্যাকারও আছে।
এদের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য প্রায়শ ক্র্যা - কার শব্দটি ব্যাবহার করা হয়, যা কম্পিউটার নিরাপত্তা হ্যাকার থেকে একাডেমিক বিষয়ের হ্যাকার কে আলাদা করার জন্য ব্যাবহার করা হয় অথবা অসাধু হ্যাকার থেকে নৈতিক হ্যাকারের পার্থক্য বুঝতে ব্যাবহার করা হয়।

২. হ্যাকারের শ্রেণীবিভাগ

সাদা টুপি হ্যাকার (White Hat Hacker) :   এরা কম্পিউটার তথা সাইবার ওয়ার্ল্ড এর নিরাপত্তা প্রদান করে। এরা কখনো অপরের ক্ষতি সাধন করে না। এদেরকে ইথিকাল হ্যাকার ও বলা হয়।
কালো টুপি হ্যাকার (Black Hat Hacker):   হ্যাকার বলতে সাধারণত কালো টুপি হ্যাকারদেরকেই বোঝায়। এরা সব সময়ই কোন না কোন ভাবে অপরের ক্ষতি সাধন করে। সাইবার ওয়ার্ল্ড এ অনেকের কাছে এরা ঘৃণিত হয়ে থাকে।
ধূসর টুপি হ্যাকার (Grey hat Hacker): এরা এমন একধরণের হ্যাকার যারা সাদা ও কালো টুপি হ্যাকারদের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। এরা ইচ্ছা করলে কারও ক্ষতি সাধন করতে পারে, আবার কারও উপকার ও করতে পারে।
এলিট (Elit):  এরা খুব দক্ষ হ্যাকার। এরা সিস্টেম ক্র্যা - ক করে ভিতরে ঢুকতে পারে এবং নিজেদেরকে লুকায়িতও করতে পারে। এরা সাধারণত বিভিন্ন ধরণের এক্সপ্লয়েট খুঁজে বের করতে পারে। প্রোগ্রামিং সম্পরকেও এদের ভালো ধারনা থাকে।
স্ক্রিপ্টকিডি (Script Kiddy):  এরা নিজেরা স্ক্রিপ্ট বা টুল বানাতে পারে না। বিভিন্ন টুলস বা অন্যের বানানো স্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করে এরা কার্যসিদ্ধি করে থাকে। এদের প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা  বলতে গেলে থাকেই না।
নিউফাইট বা নুব : এরা হ্যাকিং শিক্ষার্থী । এরা হ্যাকিং কেবল শিখছে। অন্য অর্থে এদের বিগিনার বা নিউবি বলা যায়।

৩. কিভাবে হ্যাকার হওয়া যায়

এলিট হ্যাকার হওয়া সহজ ব্যাপার না এবং খুব তাড়াতাড়ি হওয়া যায় না। একজন হ্যাকার হিসেবে অনেক সমসসার সম্মুখীন হতে হয় এবং একটি সমস্যার চেয়ে আরও বেশী সমাধান করতে হয়। সব সময় মনে রাখতে হবে জ্ঞানই শক্তি। সব সময় ধৈর্য ধারন করতে হবে, ধৈর্য না থাকলে হ্যাকার হওয়ার আশা করবেন না।

প্রোগ্রামিং

১. প্রয়োজনীয়তা

আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, প্রোগ্রামিং শেখা কি খুব প্রয়োজন? উত্তর একই সাথে হ্যা এবং না। এটি সম্পূর্ণ নিরভর করবে তোমার ইচ্ছার ওপর । প্রোগ্রামিং ভালোভাবে জানা না থাকলে সঠিক ভাবে হ্যাকিং করা যাবে না। আপনি যদি প্রোগ্রামিং না বোঝেন , তাহলে আপনি স্ক্রিপ্ট কিডির শ্রেণীভুক্ত হবেন। প্রোগ্রামিং জানার কিছু সুবিধা হলোঃ
১) আপনাকে একজন  অভিজাত হ্যাকার হিশেবে বিবেচনা করা হবে।
২) এর মাধ্যমে হ্যাকাররা খুব সহজে vulnerability খুঁজে বের করে।
৩) নিজের তৈরি প্রোগ্রাম দিয়ে হ্যাক করলে আপনি নিজেই খুশি হবেন।

২. কোথা থেকে শুরু করা উচিত?

অনেক লোক সিদ্ধান্ত নেন প্রোগ্রামিং শিখবে, কিন্তু কোথা থেকে শিখবে জানেনা। আমার মতে W3schools  থেকে HTML শিখতে পারেন। পড়ে বাকিগুলো। টেকটিউন্স থেকেও শিখতে পারবেন।

৩. শেখার সর্বোত্তম উপায়

কিভাবে প্রোগ্রামিং শেখা যাবে সে প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি...............
১) কম্পিউটার নিয়ে বাজারের যত বই পারুন সংগ্রহে রাখুন।
২) Linux ব্যাবহার করুন। উইন্ডোজ এর পাশাপাশিও ব্যাবহার করতে পারেন। হ্যাকারদের জন্য লিনাক্স এর চেয়ে ভালো কোন অপারেটিং সিস্টেম নেই। এটি আপনি এডিট ও করতে পারবেন কারণ এর সোর্স কোড উম্মুক্ত।
৩) যতো পারো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে থাকুন। হ্যাকারদের জন্য এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর ওপর আপনার দক্ষতা যতো বারবে আপনি তত ভালো হ্যাকার হতে পারবেন। এখন বলি কোনটা শিখবেন।
এইচটিএমএল>>জাভাস্ক্রিপ্ট>>সি>>সি++>>পার্ল>>পাইথন>>............>> এর যাত্রা শেষ হবে না।
৪) অনুশীলন , অনুশীলন , যতো পারেন অনুশীলন করুন।

0 comments:

More